২৫ বছর আগের মামলায় বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তার দুই বছর কারাদণ্ড

দুর্নীতির মামলার ২৫ বছর পর বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তাকে দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সম্পদের হিসাব না দেওয়ার মামলায় ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামি হলেন বাংলাদেশ বিমানের সাবেক বিপণন কর্মকর্তা আবদুল আজিজ হাওলাদার (৬৪)। তিনি আজিজ মেসার্স ককসেস অ্যান্ড ট্যুরস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন আসামি আজিজ। পরে তাঁকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার পর আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তিনি।

২৫ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ৯ আগস্ট আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব না দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন সাবেক দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল আজিজ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন। বাংলাদেশ বিমানের টিকিট বিক্রির প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আজিজ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তা অনুসন্ধানে জানা যায়। এরপর আজিজকে ১৯৯৩ সালের ২৮ মার্চ সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সম্পদের হিসাব জমা দেননি আজিজ।

মামলা তদন্ত করে চার বছর পর ১৯৯৭ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতি দমন ব্যুরো আজিজের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজিজ হাওলাদার বাংলাদেশ বিমান থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬ টাকার টিকিট বিক্রির টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু বিমানের টাকা পরিশোধ না করে তা আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০০১ সালের ৪ জুন আদালত আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম কার্যত বন্ধ ছিল।

আদালতের পেশকার মো. রফিক প্রথম আলোকে বলেন, মামলা চলাকালীন বাদী দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মারা যান। তাঁর সাক্ষ্য না পাওয়া গেলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ কয়েকজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।