এক ঘণ্টার জন্যও নির্বাচন পেছানো নয়: এইচ টি ইমাম

এইচ টি ইমাম
এইচ টি ইমাম

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবি ঠিক নয়। নির্বাচন আর পেছানো যাবে না। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে তিনবার নির্বাচন পেছানো হলো, আর নয়। এক দিনও নয়। এক ঘণ্টার জন্যও নয়।’

আজ বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তাঁদের এই বৈঠকের আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে এসে বৈঠক করে নির্বাচন পেছানোর দাবি করেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল। তখন দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। তাঁদের কিন্তু বড়দিন বা থার্টিফার্স্ট উৎসব আটকে রাখেনি। যাঁরা আসেন, তাঁরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন। তিনি আরও বলেন, ‘তবে একটি ব্যাপারে আমার খুব হাসি পেয়েছে, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, “বিদেশিরা আসবে, তাঁদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান আছে।” আমি একটা প্রশ্ন করছি, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ আছে কি না, যেখানে বিদেশিদের সুযোগ-সুবিধা দেখে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে? আমরা স্বাধীন দেশ, আমরা আমাদের সুযোগমতো নির্বাচনের তারিখ ঠিক করব। আমরা দেখব ডিসেম্বরের পরে গেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে।’

১ জানুয়ারির পর অনেক নতুন ভোটার হবেন। তাঁরা রিট করলে নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম। তিনি আরও বলেন, বছরের প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের বই দেওয়া, বিশ্ব ইজতেমা আছে। এসবের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব নয়। ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন পেছানো হলে নির্বাচন নস্যাৎ হতে পারে।

নয়াপল্টনে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, একদিকে শান্তির কথা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে অগ্নি-সন্ত্রাসে করছে। পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংস ঘটনা নির্বাচনের আচরণবিধির লঙ্ঘন। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁরা ইসির প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা নির্বাচনসংক্রান্ত নয়। দুই গাড়িতে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম দেওয়ার সময় ধানমন্ডিতে লোক সমাগম হলেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, গণভবনে কোনো নির্বাচনসংক্রান্ত কাজ হয়নি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ধানমন্ডিতে হয়েছে। সেখান থেকে দোয়া নিতে অনেকে দলের সভাপতির কাছে গণভবনে গিয়েছেন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন রশিদুল আলম, দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মশিউর রহমান, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।