সোনাদিয়া দ্বীপের বাওনিয়া লতা

বাওনিয়া লতা, সোনাদিয়া দ্বীপে। সাম্প্রতিক ছবি।  লেখক
বাওনিয়া লতা, সোনাদিয়া দ্বীপে। সাম্প্রতিক ছবি। লেখক

সোনাদিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল। এখানে বাস করে বিশ্বের অতিবিপন্ন পাখি চামচঠুঁটো বাটান, সামুদ্রিক কাছিম; জলচর, স্থলচর ও পরিযায়ী পাখিসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী। এ দ্বীপে আছে রোপণকৃত এবং প্রাকৃতিক প্যারাবন। প্যারাবনে নানা প্রজাতির গাছপালা জন্মে। কিছুদিন আগে সোনাদিয়া দ্বীপে গিয়ে উপকূলীয় প্যারাবনের অনেক জায়গায় পুষ্পিত বাওনিয়া লতার দেখা পাই। সুন্দরবনে বহুবার গিয়েও সুদর্শন এই উদ্ভিদের ফুলের দেখা পাইনি। সোনাদিয়া দ্বীপের পূর্বপাড়া যেতে যে একটি মাটির সড়ক আছে, তার আশপাশের প্যারাবনে এ লতার উপস্থিতি বেশ।

বাওনিয়া লতা ঝোপ আকারে বেড়ে ওঠে। এটি চিরসবুজ বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল লতা। লতার শীর্ষে ফুল ফোটে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফুলে প্যারাবনের পতঙ্গ আসে। মিয়ানমার, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের প্যারাবনেও এ লতা জন্মে। বীজের মাধ্যমে এর বংশবৃদ্ধি। বাওনিয়া লতার বৈজ্ঞানিক নাম finlaysonia obovata। বিখ্যাত স্কটিশ প্রকৃতিবিদ জর্জ ফিনলেসনের নামে এই প্রজাতির গণের নামকরণ করা হয়েছে। মালুকা আদিবাসীরা এ লতার পাতা সালাদ হিসেবে খায়। ফুল ছোট, একটি গুচ্ছে একাধিক থাকে। পাপড়ি ফিকে হলুদ থেকে হালকা গোলাপি ও রোমশ। পাতায় প্রচুর হাইড্রোকার্বন থাকে।