সাঈদীর দুই ছেলে প্রার্থী হতে চান

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে জাতীয় সংসদের পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী হতে চান। এতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সায় আছে।

তবে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা ও ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারও আসনটিতে প্রার্থী হতে চান।

কথা বলে জানা গেছে, পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম বিন সাঈদী ও পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-ইন্দুরকানি) আসনে আরেক ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাসুদ সাঈদী বর্তমানে ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

মাসুদ সাঈদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে আমি প্রার্থী হচ্ছি। আমরা দুই ভাই ২০-দলীয় জোটের কাছে পিরোজপুর ১ ও ২ আসন দাবি করব।’

১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাংসদ হন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের কাছে হারেন। সাঈদীর গ্রামের বাড়ি ইন্দুরকানি উপজেলায়। নবম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ইন্দুরকানি উপজেলা পিরোজপুর-১ আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করায় ইন্দুরকানি পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত হয়। পিরোজপুর-১ আসনটি জামায়াত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

সাঈদীর বড় ছেলে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমি পিরোজপুর-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ লক্ষ্যে এলাকায় জনসংযোগ করছি।’

পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির তোফাজ্জেল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পিরোজপুরের দুটি আসনে নির্বাচন করার
মতো তাঁদের নেতা-কর্মী রয়েছেন। তবে কোন কোন আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, তা কেন্দ্র নির্ধারণ করবে। এরপর জোটের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।