নাশকতার মামলায় তাঁর ছেলে

ট্রাক চালক রাকিবের বাবা মাসুম ঢাকার আদালতে ছবি: আসাদুজ্জামান
ট্রাক চালক রাকিবের বাবা মাসুম ঢাকার আদালতে ছবি: আসাদুজ্জামান

রাকিবকে আসামির কাঠগড়ায় দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তাঁর বাবা মাসুম। তিনি বললেন, তাঁর ছেলে রাকিব ট্রাক চালক। কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। অথচ পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে গিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে এসেছে।

পাবনের চাচা আবদুস সালাম বললেন, তাঁর ভাতিজা রাজনীতি করে না। পোস্তগোলায় দোকান করেন। পুলিশ গতকাল রাতে বাসা থেকে পাবনকে ধরে নিয়ে এসেছে।

মামলার কাগজপত্র বলছে, রাকিব এবং মাসুম দুজনই একই মামলার আসামি। মামলার এজাহারে তাঁদের নাম আছে। দুজনকে আজ আদালতে তুলে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে গেন্ডারিয়া থানা-পুলিশ। আদালত প্রত্যেকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

গেন্ডারিয়া থানায় করা এ মামলায় পুলিশ বলছে, ৬ নভেম্বর বিকেলে সাদেক হোসেন খোকা মাঠের সামনে ১৮০ থেকে ১৯০ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেন। গেন্ডারিয়া থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রাকিব ও পাবন ছাড়াও ওয়ারী থানা-পুলিশ নাশকতার চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে আরও ৫ জনকে।

ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামের চকবাজার থানার বেটারীগলি গ্রামে। শফিউল আর নুরুল আলমের বাড়িও চট্টগ্রামে। ওয়ারী থানার মামলায় এই তিনজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপর দুই আসামি হলেন সাব্বির হোসেন ও নাসিমা বেগম।

পাবনের চাচা আবদুস সালাম ছবি: আসাদুজ্জামান
পাবনের চাচা আবদুস সালাম ছবি: আসাদুজ্জামান

তাঁদের আত্মীয় মনিরুল আলম ও তকিবুল হাসান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনজনকে গতকাল হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনজনই চট্টগ্রামের বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া উপলক্ষে তাঁরা ঢাকায় আসেন।

এই পাঁচজন আসামির বিষয়ে ওয়ারী থানা-পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, গত ৬ নভেম্বর ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজারের এরশাদ মার্কেটের পশ্চিম পাশের পাকা রাস্তার ওপর একত্রিত হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করে আসামিরা। এ আসামিরা পলাতক আসামিদের ব্যাপারে বেশ তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামিরা পলাতক আসামিদের নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছে। জনশ্রুতি আছে, এর আগে আসামিরা নাশকতামূলক কাজ করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করেছে।

আদালত ইদ্রিস মিয়ার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।