৪৭২ নেতা-কর্মীর তালিকা ইসিতে দিল বিএনপি

দেশব্যাপী আটক হওয়া ৪৭২ জন নেতা-কর্মীর তালিকা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে ইসিতে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলা বন্ধে ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

গত বুধবার ইসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সারা দেশে গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছিলেন, বিএনপির কাছে কোনো তালিকা থাকলে তা যেন ইসিতে পাঠানো হয়। ইসি ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, সিইসির ওই আশ্বাস পেয়ে আটক নেতা-কর্মীদের তালিকা ইসিতে পাঠানো হয়েছে।

সিইসিকে লেখা মির্জা ফখরুলের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে শত শত নেতা-কর্মীকে। চার দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসের সামনের ও তার আশপাশের সড়কে পাহারা বসিয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য সাংসদ প্রার্থীরা দলীয় ফরম সংগ্রহ করার জন্য দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের দেহ তল্লাশি করছেন এবং আটক করছেন। এমনকি মনোনয়ন ফরম কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির অফিস ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ৬০/৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো আটক অভিযান অব্যাহত আছে।
ইসির নিরপেক্ষতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতি–উৎসাহী কিছু সদস্য ইসির নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন।
বিএনপির মহাসচিব দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধে ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে পুলিশ বিএনপির মোট ৪৭২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সঙ্গে পাঁচটি হয়রানিমূলক এজাহারও পাওয়া গেছে। পরবর্তী সময় কাউকে আটক করা হলে বা কোনো ধরনের গায়েবি মামলা হলে সেই তথ্য তাৎক্ষণিক ইসিকে জানানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।