বাংলা একাডেমির কাছে লেখক ঐক্যের প্রস্তাব

বইমেলার স্টলের নকশা পুনর্বিন্যাসসহ বাংলা একাডেমির কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। ১৭ নভেম্বর, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত
বইমেলার স্টলের নকশা পুনর্বিন্যাসসহ বাংলা একাডেমির কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। ১৭ নভেম্বর, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ উপলক্ষে বাংলা একাডেমির কাছে কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। শনিবার হাতিরপুলের রোজভিউ প্লাজার ‘লেখক আড্ডা’য় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বইমেলার নতুন একটি খসড়া বিন্যাস ও নকশা প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ লেখক আড্ডার সভাপতি ফাহমিদুল হক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন।

প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ লেখক ঐক্য বিদ্যমান মেলা বিন্যাসের নানান সীমাবদ্ধতা খুঁজে পেয়েছে। বিদ্যমান মেলা বিন্যাসে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বাঁক ও আড়াল রয়েছে, নকশার কারণে অনেক স্টল একেবারে আড়ালে পড়ে যায়, পাঠকেরা সহজে কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজে পান না, প্রচুর স্থান অপচয় হয়, দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের উপায় থাকে না। ফলে স্টল বিন্যাসের নকশা পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। ডিজাইনার মেহেদী হক প্রস্তাবিত নকশাটি সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরেন।

প্রস্তাবিত নকশা ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয় তার মধ্যে রয়েছে, মেলার সময়সীমা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা ও ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মেলা বেলা ১১টা থেকে শুরু করা, মেলা পরিচালনা কমিটিতে লেখকদের অন্তর্ভুক্ত করা, লেখক সম্মানী নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আইনি সেল ও বুথ খোলা, বাংলা ধ্রুপদি সাহিত্যের পৃথক স্টল বরাদ্দ করা ইত্যাদি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি-প্রাবন্ধিক আরশাদ সিদ্দিকী, কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, অনুবাদক জিএইচ হাবীব, সাবেক সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক রাখাল রাহা, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক নাট্যকার ও আবৃত্তিকার আলমগীর খান, কথাসাহিত্যিক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, সাহিত্য সংগঠক নাজিফা তাসনিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।