পিরোজপুরে প্রকাশ্যে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার চণ্ডীপুর বাজারে বিকেলে লোকজনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম রেজাউল করিম (৪২)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযাগে কাঞ্চন আলী ব্যাপারী (৩৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত রেজাউল করিম উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তার হাওলাদারের ছেলে। তিনি চণ্ডীপুর কে সি টেকনিক্যাল কলেজের এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিমের চাচাতো ভাই আবদুল খালেক হাওলাদারের মেয়ে মুনিয়া আক্তারের সাবেক স্বামী কাঞ্চন আলী ব্যাপারী। কয়েক মাস আগে কাঞ্চন আলীর সঙ্গে মুনিয়া আক্তারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এ জন্য কাঞ্চন আলী রেজাউল করিমকে দায়ী করেছেন। রোববার বিকেলে রেজাউল করিম বাড়ি থেকে চণ্ডীপুর বাজারে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে চণ্ডীপুর বাজারের মজনু মিয়ার মিষ্টির দোকানের সামনে রেজাউল করিম রিকশা থেকে নামেন। সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে হঠাৎ কাঞ্চন আলী একটি কুড়াল দিয়ে রেজাউলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় আশপাশ থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

রেজাউলের চাচাতো ভাই জাকির হাওলাদার বলেন, কাঞ্চন আলী স্ত্রী মুনিয়াকে নির্যাতন করতেন। এ কারণে মুনিয়ার পরিবার বিবাহবিচ্ছেদর সিদ্ধান্ত নেয়। বিবাহবিচ্ছেদের সময় রেজাউল করিম দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন। এ কারণে কাঞ্চন আলী রেজাউলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিকেলে রেজাউল বাজারে যাওয়ার সময় দূর থেকে কাঞ্চন আলী তাঁকে অনুসরণ করেন। রিকশা থেকে নামার পর হঠাৎ কাঞ্চন আলী রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামের আবু বক্কর ব্যাপারীর ছেলে কাঞ্চন আলী ব্যাপারীকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। রেজাউলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।