যুক্তির লড়াইয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে জ্ঞানভান্ডার

নানা বিষয়ের ওপর বছরব্যাপী কাজ করে প্রথম আলো। এ কাজের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক উৎসব হচ্ছে। এই যুক্তির লড়াইয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে তাদের জ্ঞানভান্ডার। প্রথম আলো চায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাক। তাই নিয়মিত বই পড়তে হবে; ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে হবে। সর্বোপরি ভালো মানুষ হয়ে দেশের কাজে লাগতে হবে।

পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসবে এসব কথা বলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়, করো যুক্তি দিয়ে বিশ্বজয়’ স্লোগান সামনে রেখে শুক্রবার খুলনা ও মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব।

খুলনা নগরের সবুরণনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে সকাল পৌনে ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রথম আলোর খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি অধ্যাপক রমা রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল ইসলাম সনেট।

উৎসবে খুলনার ১১টি ও সাতক্ষীরার ৩টি বিদ্যালয় অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হয় খুলনা জিলা স্কুল। রানার্সআপ হয় সরকারি ইকবাল নগর বালিকা বিদ্যালয়। সেরা বিতার্কিক হয় খুলনা জিলা স্কুল বিতার্কিক দলের নেতা আলিফ আল জামান। উৎসবে বিতর্ক ছাড়াও ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা।

উৎসবে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি বিএল কলেজের অধ্যাপক শংকর মল্লিক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বর্ণকমল রায়, খুলনা টিঅ্যান্ডটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রসূন রায়, সেন্ট যোসেফস উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক হিমাংশু গোলদার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মিনা মিজানুর রহমান, খুলনা পাবলিক কলেজের শিক্ষক মো. তাকদীরুল গনী, বিতার্কিক মুসলিমা খাতুন, হাজি মালেক ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক পীযূষ কুমার সরকার, আইনজীবী মাসুম বিল্লাহ ও রায়ের মহল অনার্স কলেজের শিক্ষক শ্যামাপ্রসাদ বাছাড়।

মাদারীপুরে উৎসবস্থল ছিল শহরের ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রতন কুমার খান। প্রথম আলোর মাদারীপুর প্রতিনিধি অজয় কুণ্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বন্ধুসভার সভাপতি কুমার লাভলু। উদ্বোধন পর্বে বক্তব্য দেন মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মণ্ডল ও পুষ্টি বরিশাল অঞ্চলের বিপণন ব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন সুমন।

বিতর্ক উৎসবে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আটটি দল অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। রানার্সআপ হয় শরীয়তপুরের পালং তুলাশার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। সেরা বিতার্কিক হয় ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিন কেয়া। এ ছাড়া উৎসবে কুইজ প্রতিযোগিতায় ছয় শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

দেশের ৪০টি অঞ্চলে বিতর্ক উৎসব হচ্ছে। প্রতি জেলায় চ্যাম্পিয়ন বিতর্ক দল ঢাকায় জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসবে অংশ নেবে। আঞ্চলিক পর্ব শেষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হবে চূড়ান্তপর্বের। বিতর্ক উৎসব সামনে রেখে ঢাকায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়।