একজন বনাম এক ডজন

নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের একজনই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে বিএনপিতে রয়েছেন এক ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। নৌকা ঠেকাতে দলটির নেতা–কর্মীরা চাইছেন ‘শক্ত’ প্রার্থী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের দেওয়ান আজিজুর রহমান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ান আজিজুর রহমানকে হারিয়ে সাংসদ হন বিএনপির ছালেক চৌধুরী। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচন হন বিএনপির ছালেক চৌধুরী। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার ধানের শীষের প্রার্থী ছালেক চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি আবারও সাংসদ নির্বাচিত হন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ছাড়া আওয়ামী লীগের আর কেউ দলের মনোনয়ন ফরম তোলেননি।

সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত ১০ বছরে পোরশা উপজেলার শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলাতেই ৯৫ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। অতীতে আর কোনো সরকারের আমলে এত উন্নয়ন সাধিত হয়নি।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ ছালেক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, পোরশা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লায়ন মাসুদ রানা, নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ আহমেদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও খালেদ মাহমুদ।

নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। একটি আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকতেই পারে। তবে সে ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিএনপির অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সাংসদ ছালেক চৌধুরী বলেন, ‘এই আসনে আমি ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। এটা গোছানো মাঠ। বিএনপির একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে আমি এবারেও মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।’

বিএনপির তরুণ নেতা লায়ন মাসুদ রানা বলেন, ‘ছালেক চৌধুরী আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা। তবে তাঁর বয়স হয়েছে। গত ১০ বছরে সংকট মুহূর্তে তিনি দলকে সঠিকভাবে সংগঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই হিসেবে এবার এই আসনে বিএনপির নতুন মুখ আসার সম্ভাবনাই বেশি। আর নতুন মুখ এলে আমার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’