নৌকার টিকিট ইকবালের হাতে, দলের নেতারা খুশি

আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর সমর্থকদের সঙ্গে ইকবাল হোসেন। প্রথম আলো
আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর সমর্থকদের সঙ্গে ইকবাল হোসেন। প্রথম আলো

গাজীপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। গতকাল রোববার সকালে তিনি টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।

গতকাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে শ্রীপুরে বিভিন্ন স্থানে ইকবালের অনুসারী নেতা–কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন। ইকবালের অনুসারী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে, তা তাঁরা আগেই জানতেন। শুধু ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁরা বলেন, শেখ হাসিনার গোপন জরিপে সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে ইকবাল মনোনয়ন পেয়েছেন। আর ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাংসদপুত্র জামিল হাসান দুর্জয়, এমনটা ভাবছেন তাঁরা।

নির্বাচনী এলাকার ব্যস্ততম ব্যবসায়িক কেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় কথা হয় কয়েকজন সাধারণ ভোটারের সঙ্গে। তেলিহাটি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে ইকবালের। কেওয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, এই আসনে ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালো হয়েছে। এতে উন্নয়ন হবে। গিলাবেড়াইদ গ্রামের আলফাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা কোনো সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। তবু ইকবালকে চিনি। তিনি মানুষের খুব কাছে গিয়ে রাজনীতি করেন। হাসিমাখা চেহারার কারণে মানুষ তাঁকে আপন মনে করে। তাঁর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

ইকবাল হোসেন ২০০৯ সালে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুরর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভেদের ঊর্ধ্বে থেকে নৌকাকে বিজয়ী করতে ইকবাল হোসেনের পক্ষে মাঠে কাজ করব। তাঁর বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

ইকবাল হোসেন ২০০৯ সালে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছিলেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার পর পুরোদস্তুর রাজনীতিক হন তিনি। এরপর যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থাকাকালীন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপরই হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে  তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তখন মনোনয়ন পান বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক রহমত আলী।