সরিষাবাড়ীবাসী লাঙ্গল নয়, পেলেন নৌকা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর–৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে সাবেক সাংসদ মুরাদ হাসানকে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ খবরে দলীয় নেতা–কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ–উল্লাস করছেন।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী ও কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামালপুর-৪ আসনে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসেননি। তিনি এলাকায় কোনো উন্নয়ন না করায় এলাকাবাসী তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাই পাঁচ বছর পর নৌকা প্রতীক ফিরে পাওয়ায় দলীয় নেতা–কর্মীরা বেশ খুশি হয়েছেন। আর এ খবরের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার গ্রাম–গঞ্জে দলীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। তাঁরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ–উল্লাস করছেন।

শিমলাবাজারের মধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মধুসূদন চন্দ বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি দুই মণ মিষ্টি বিক্রি করেছি। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এ মিষ্টি নিয়েছেন।’ সাবেক প্রধান শিক্ষক বাহার আলী বলেন, ‘উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে সাবেক সাংসদ মুরাদ হাসানকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় সরিষাবাড়ীর উন্নয়ন হবে। লাঙ্গল থেকে নৌকা দেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি।’

>এই আসনে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসেননি।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর লাঙ্গলের এমপি থাকায় এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা আসনটি উপহার দিতে পারব।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আসনে সাবেক সাংসদ মুরাদ হাসানকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা সবাই খুশি। এ ঘটনায় সারা উপজেলায় দলীয় নেতা–কর্মীরা আনন্দ–উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করছেন।’

এ ব্যাপারে সাবেক সাংসদ মুরাদ হাসান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ায় সরিষাবাড়ীবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি, এ আসনে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারব।’