এক মঞ্চে নানক-সাদেক

ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ওই আসনে নৌকার প্রতীক পাওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ দলীয় নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ওই আসনে নৌকার প্রতীক পাওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ দলীয় নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে এক হয়ে কাজ করতে এক হলেন ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাদেক খান।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক মতবিনিময় সভায় সাদেক খানকে সমর্থন জানান। এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন নানক।

মতবিনিময় সভার শুরুতে ১০ বছরে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের উন্নয়নের প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবার নৌকা তুলে দিয়েছেন সাদেক খানের হাতে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশকে রক্ষার স্বার্থে, নৌকার স্বার্থে আমাদের এক হতে হবে। কারণ নৌকার বিজয় ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।’

সাদেক খানের বিষয়ে নানক বলেন, ‘সাদেক খান এই এলাকার মাটি ও মানুষের নেতা, আমার ভাই। তিনি দীর্ঘদিন এই এলাকায় আমাদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাদেক খানের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন, এ জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে এই এলাকায় নির্বাচনে কাজ করে যেতে হবে। সাদেক খানের পক্ষে কাজ করে যেতে হবে।

সাদেক খানের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির, নেতার সঙ্গে নেতার নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা হতেই পারে। কিন্তু সকলকে আপনার বুকে তুলে নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সাদেক খান বলেন, ‘আমার বড় ভাই (নানক) যে বক্তব্য সবার সামনে দিয়েছেন, আমাকে বুকে তুলে নিয়েছেন, এর জন্য আমি তাঁকে স্যালুট জানাই।’ তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না আমি তাঁর (নানক) সঙ্গে কোনো দিন বেয়াদবি করেছি। আমার বড় ভাই যে বক্তব্য আজকে রেখেছেন, আমি তাঁকে সবার সামনে স্যালুট জানাই।’

মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।