সাভারে সাবেক সাংসদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা

ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদ জংয়ের কয়েকজন সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার রাত ১১টার দিকে সাভারের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তৌহিদ জংয়ের চারজন সমর্থকের বাড়ির জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙা। বাড়িগুলোর প্রধান ফটকে ইটপাটকেলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, ‘রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে গেছি, ঠিক সেই সময় হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার কারণে আমরা ভয়ে আছি। অনেকেই ঘটনা দেখেছে। হামলাকারীদের অনেককে চেনা গেছে। কিন্তু তাদের পরিচয় প্রকাশ করলে আরও হামলা হতে পারে।’

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে ঢাকা-১৯ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের পাঠানো মনোনয়নের চিঠি পান ওই আসনের বর্তমান সাংসদ এনামুর রহমান। এরপর সাভারের বিভিন্ন এলাকায় এনামুর রহমানের সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল করেন। সন্ধ্যার পর বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায়ও আনন্দ মিছিল করেন এনামুর রহমানের সমর্থকেরা। এর কিছুক্ষণ পর ২৫-৩০ জন সাভার থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল হক, তৌহিদ জংয়ের সমর্থক ও কর্মী ইশতিয়াক সিদ্দিক, শাহীন মিয়া এবং তাঁদের বাসার পাশের আরও একটি বাসায় ইটপাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে ওই চারটি বাড়ির জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙে যায়। এ সময় তৌহিদ জংয়ের সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এই আসনে তৌহিদ জং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

ঘটনার সময় সাভার থেকে বাসায় ফেরার পথে শাহ এমদাদ ভূঁইয়া (২৮) নামের একজন পথচারীকে বেধড়ক পেটায় দুর্বৃত্তরা। শাহ এমদাদ চীনের একটি শিপিং কোম্পানিতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তিনি গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছুটিতে দেশে আসেন।

জানতে চাইলে তালুকদার মো. তৌহিদ জং প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হচ্ছে। নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোনো কোনো কর্মী–সমর্থককে খুঁজে বেড়াচ্ছে দুর্বৃত্তরা। কর্মী–সমর্থকদের কমবেশি সবাই আতঙ্কে আছেন। এসব ঘটনা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

সাংসদ এনামুর রহমান বলেন, ‘আগে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যে মারধর করেছে, পরে তার বাসায় হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা কেউ আমার সমর্থক নয়। হামলাকারীদের কেউ আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সন্ধ্যা সাতটায় সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়ালের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরে একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি।