কর্মী সমাবেশে কান্নায় ভেঙে পড়লেন খালেদ শওকত

নেতা-কর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার সময় খালেদ শওকত আলী কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নিজ বাসভবনে।  ছবি: প্রথম আলো
নেতা-কর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার সময় খালেদ শওকত আলী কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নিজ বাসভবনে। ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সাংসদ শওকত আলীর বাসভবনে গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সাংসদের ছেলে খালেদ শওকত আলী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি এবার শরীয়তপুর-২ আসনে (নড়িয়া ও সখিপুর) দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে (শামীম)।
সাংসদের নড়িয়ার বাসভবন স্বাধীনতা ভবনে সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী। বক্তব্য দেন শওকত আলীর স্ত্রী মাজেদা শওকত, ছেলে খালেদ শওকত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মল্লিক, প্রচার সম্পাদক মিহির চক্রবর্তী প্রমুখ।
খালেদ শওকতের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের বুকে জড়িয়ে খালেদ শওকত আলীকে কাঁদতে দেখা যায়। মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাঁর পাশে থাকা বাবা শওকত আলী ও মা মাজেদা শওকতের চোখেও পানি আসে।
খালেদ শওকত আলী বলেন, ‘তৃণমূলে আমার সর্বোচ্চ সমর্থন ছিল। সব জরিপে আমি প্রথম ছিলাম। তারপরও মনোনয়ন পাইনি। নেত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটা করেছেন। আমাদের চোখের জলে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণের বিনিময়ে যদি শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন, তাতে ক্ষতি কী? তাঁর মঙ্গলের জন্য আমরা সবকিছু বিসর্জন দিতে প্রস্তুত আছি।’

এলাকায় এনামুল হক
মনোনয়নের চিঠি হাতে পাওয়ার পর গত সোমবার নির্বাচনী এলাকায় আসেন এনামুল হক। সোমবার নড়িয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সখিপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে যান।