সাদেক হোসেন খোকার ১০ বছরের কারাদণ্ড

সাদেক হোসেন খোকা
সাদেক হোসেন খোকা

দুর্নীতির মামলায় ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খোকাকে ২০ লাখ টাকা ও অন্যদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন বনানীর ঢাকা সিটি করপোরেশনের সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও পার্কিং স্থানের ব্যবস্থাপক এ এইচ এম তারেক। সাদেক হোসেন খোকা পলাতক। অপর তিন আসামি জামিনে থাকলেও আজ তাঁরা আদালতে হাজির হননি। এঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রেজাউল করিম।

আদালত সূত্র বলছেন, মামলায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে মেয়র থাকাকালে অপর তিন আসামির সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে মোট ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, খোকাসহ চারজন পরস্পরের যোগসাজশে বনানীর ওই মার্কেটের বেসমেন্টে ‘কার পার্কিংয়ের’ ইজারার অর্থ আত্মসাৎ করেন। ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদক শাহবাগ থানায় এই মামলা করে। তদন্ত করে ওই বছরের ৭ নভেম্বর খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ মামলায় ১১ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের আরেক মামলায় সাদেক হোসেন খোকার ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে সাদেক হোসেনের ১০ কোটি ৫ লাখ ২১ হাজার ৮৩২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল দুদক সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রমনা থানায় এই মামলা করে। সাদেক হোসেন খোকা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।