লালপুরে যুবলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কাটল প্রতিপক্ষরা

নাটোরের লালপুর উপজেলার বাহাদিপুর এলাকায় উপজেলা যুবলীগের এক নেতার দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে এবং মাথা কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। তাঁর নাম জাহারুল ইসলাম (৩৮)। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

লালপুর থানা, দলীয় সূত্র ও তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাহাদিপুরে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে জাহারুল দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ গোপালপুর পৌরসভার কমিশনার মাসুদ রানা, যুবলীগ কর্মী মঞ্জুসহ ১০ থেকে ১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। তাঁর মাথায় একাধিক কোপ দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিক রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মজিবুল হক জানান, জাহারুলের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে গেছে। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হওয়ায় তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাল হোসেন জানান, উভয় পক্ষ যুবলীগের নেতা-কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে তাঁদের মধ্যে গোলমাল চলে আসছিল। এর জের ধরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হামলাকারীরা বর্তমান সাংসদ মো. আবুল কালামের সঙ্গে ওঠাবসা করে। অন্য পক্ষ সাংসদের প্রতিপক্ষ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে চলাফেরা করে। বর্তমান সাংসদ এবার মনোনয়ন না পাওয়ায় সম্প্রতি জাহারুল সাংসদের সমর্থকদের মারধরের চেষ্টা চালাচ্ছিল। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।