১৭ আসামির বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা ১১ মামলার পলাতক ১৭ আসামির বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার তৃতীয় দফায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক এ আদেশ দেন। আগামী ১৭ মার্চ এ পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর এই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি মর্মে ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ওই দিন আদালত আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পরোয়ানা জারিসংক্রান্ত প্রতিবেদন গতকাল দাখিলের নির্দেশ দেন। গতকালও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত আবার তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শেষে হল-মার্ক গ্রুপ ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে এ ১১টি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের ব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি আতিকুর রহমান (বর্তমানে ওএসডি), দুই উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সফিজউদ্দিন আহমেদ
(সাময়িক বরখাস্ত)। তানভীর মাহমুদের স্ত্রী ও হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন হল-মার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আবদুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরি।
গত বছরের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় তানভীর মাহমুদসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে এ ১১টি মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।