সিলেটে 'নাছোড়' জামায়াতের আরও একটি আসন দাবি

২০-দলীয় জোটের শরিক হিসেবে জামায়াতকে সিলেট বিভাগের দুটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এ দুটির পাশাপাশি আরও একটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়তের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির ছেড়ে না দেওয়া আসনটি পেতে এখনো নাছোড় অবস্থানে জামায়াত। তবে জামায়াতকে আর কোনো আসন ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
২০-দলীয় জোটের সিলেটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতকে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) এবং সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) আসন দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনেও জামায়াত প্রার্থী দিতে ইচ্ছুক। এ অবস্থায় তিনটি আসনেই জামায়াতের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপি আসনটিও ছেড়ে দেবে বলে জামায়াত নেতারা আশায় আছেন।
জামায়াতের এক নেতা জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৫ আসনে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ ফরিদউদ্দিন চৌধুরী এবং সিলেট-৬ আসনে কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা দক্ষিণের আমির হাবীবুর রহমান নির্বাচন করেছিলেন। এখন জামায়াতের অবস্থান সিলেটে আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ অবস্থায় জামায়াত অতিরিক্ত আরেকটি আসন জোটের কাছে দাবি করেছে।
জামায়াতের সাংগঠনিক ‍সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার-১ আসনে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপর দুটি আসনের মতো এ আসনটিতেও জামায়াত প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে।
এদিকে মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপি এরই মধ্যে দলের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠুকে মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে যেকোনো একজন নির্বাচন করবেন বলে দলটি জানিয়েছে। তাঁরা গতকাল মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমাও দিয়েছেন।
সিলেট নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. শাহজাহান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জোটের বৃহত্তর স্বার্থেই সিলেট জেলার দুটি আসনের পাশাপাশি মৌলভীবাজারেরও একটি আসন দাবি করেছি। যদিও জোট আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি আসন ছেড়ে দিয়েছে। অপর আসনটিও শেষ পর্যন্ত আমরা পাব ধরে নিয়েই এগোচ্ছি।’ তিনি জানান, ২০–দলীয় জোট ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জামায়াতকে ২৫টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। তবে জামায়াতের দাবি ৬১টি আসন। এ অবস্থায় ৬১টি আসনেই জামায়াত আপাতত মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রেখেছে। শেষ পর্যন্ত দর–কষাকষির ভিত্তিতে জামায়াত আরও কিছু আসনে নির্বাচন করবে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।