বিএনপির মনোনয়ন পেলেন পাঁচজন

জিয়াউর রহমান খান, তমিজ উদ্দিন, সুলতানা আহমেদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কফিল উদ্দিন
জিয়াউর রহমান খান, তমিজ উদ্দিন, সুলতানা আহমেদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কফিল উদ্দিন

ঢাকা-১৯ ও ২০ আসনে পাঁচজন বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে দুজন এবং ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে তিনজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দলের পক্ষ থেকে কৌশলগত কারণে একাধিক প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হলেও প্রার্থীদের প্রায় সবাই তাঁদের প্রার্থিতা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন।

ঢাকা-১৯ আসনে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। আর কফিল উদ্দিন একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাঁর নিজ গ্রাম জিরাবরে গিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি যান সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির বাসায়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানকালে তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে প্রাথমিকভাবে দুজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকেই প্রার্থী করা হবে।

ঢাকা-২০ আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান খান, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ সুলতানা আহমেদ।

মনোনয়ন পাওয়ার পর তমিজ উদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বুধবার পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর পরপরই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন জিয়াউর রহমান খান ও সুলতানা আহমেদ।

তমিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনজনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হলেও তিনি ১ নম্বরে রয়েছেন। তাঁকে দলীয় প্রার্থী করা হবে, বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই তিনি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন।

জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান খান বলেন, ‘দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। দেখা যাক, দলের নীতিনির্ধারক পর্যায় কী সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আমি আশাবাদী, আমাকেই প্রার্থী করা হবে। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলে মাঠে নেমে পড়ব। নেতা-কর্মীরাও দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন।’