স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন চারজন

পঞ্চগড়-১ আসনের বর্তমান সাংসদ ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নিজ দলের নিবন্ধন না থাকায় ১৪ দলের শরিক হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

একইভাবে দিনাজপুর-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট থেকে মনোনয়ন না পেয়ে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের তিন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে জাসদের নেতা নাজমুল হকসহ বিভিন্ন দলের ৯ জন প্রার্থী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর পঞ্চগড়-১ আসনের বর্তমান সাংসদ ও জাসদের নেতা নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। আসনটির জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করছি। এই আসন মূলত জোটের জন্যই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কী কারণে এমনটি হয়েছে, আমরা তা জানি না।’

দিনাজপুর-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত ওই তিন নেতা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আজিজুল হক চৌধুরী, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও সাবেক সাংসদ ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরী।

আজিজুল হক চৌধুরী ঘোড়াঘাট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের কাছে এবং আতাউর রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরী গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক চৌধুরী এবং আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের এবং কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরী মহাজোটের শরিক দল হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান জানিয়েছেন, মনোনয়নবঞ্চিতরা সংঘবদ্ধ রয়েছেন। তাঁরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবেন।

ন্যাপের নেতা কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে মুঠোফোনে জানান, তিনি এখনো আশাবাদী, মহাজোট থেকে তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এই কারণেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবর্তন না হলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।