নারী চা-দোকানিকে 'মারধর' জাবি শিক্ষার্থীর

পাওনা টাকা চাওয়ায় বিবি আয়েশা খাতুন (৩৫) নামের এক চা–দোকানিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

ওই ছাত্রের নামে লায়েব আলী। তিনি দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে গিয়ে লায়েব আলী কয়েকটি বিস্কুট নেন। এ সময় আগের পাওনা আড়াই শ টাকা দেওয়ার অনুরোধ জানান দোকানি আয়েশা খাতুন। এতে রেগে গিয়ে লায়েব ওই দোকানিকে গালাগাল করতে শুরু করেন। গালাগাল করতে নিষেধ করায় দোকানের পাশে পড়ে থাকা একটি বাঁশের খণ্ড দিয়ে আয়েশা খাতুনকে আঘাত করেন লায়েব। এ সময় দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

আয়েশা খাতুন বলেন, ‘পাওনা টাকা চাওয়ায় লায়েব গালি দিতে থাকেন। গালি দিতে নিষেধ করলে তিনি বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার হাতে মারেন। পরে রবিউল ইসলাম নামে অপর এক ছাত্র এসে টাকা পরিশোধ করে দেন। এরপর তিনি (রবিউল) আমাকে বলেন, মহিলা মানুষের ছেলেদের হলের সামনে দোকান করার দরকার নাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লায়েব আলী বলেন, ‘আমার কাছে ওই দোকানদারের টাকা পাওয়ার কথা না। তারপরও তিনি আমার কাছে টাকা দাবি করেন। আমি তাঁর কাছে টাকার লিখিত হিসাব দেখাতে বলি। তিনি হিসাব দেখাতে পারেননি। তাই ধমক দিয়েছি আর বলেছি শিক্ষার্থীদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে। তবে তাঁকে মারধর করিনি।’

রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি গিয়ে ওই দোকানদারকে বুঝিয়ে বলেছি। কয়েক দিন ধরে হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই দোকানদারের ঝামেলা হচ্ছে। তাই ওনাকে বলেছি উনি না এসে দোকানে ওনার স্বামী অথবা ছেলেকে বসাতে।’

মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। হলের কর্মকর্তারা সেখানে গেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’