সরকার বাদলকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবি

বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর ও গাবতলী উপজেলা) আসনে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদলকে ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী (ধানের শীষ) মনোনীত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। ২০–দলীয় শরিকদের পক্ষ থেকে জাগপা ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম (একাংশ) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা শাখার সভাপতি এস এস সামচ-উল হক। উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি আবদুল ওয়াহেদ, সদর থানার সভাপতি মাওলানা আবু রায়হান, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ মোকলেছুর রহমান, সদর থানার সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সামচ-উল হক বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও জোটের নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায় বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় কারা ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। এ কারণে তাঁর প্রার্থিতা টিকবে কি না এ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তিনি প্রার্থী হতে পারলে জোটের শরিকেরা তাঁকে ভোট দেবে। কিন্তু বিকল্প প্রার্থী দিতে হলে এই আসনে ক্লিন ইমেজের কাউকে দিতে হবে।’

সরকার বাদল ১৯৯৬ সালে বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা ও বগুড়া পৌরসভা) আসনে সাংসদ হিসেবে প্রথম দলীয় মনোনয়ন চান। তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সদরের পাশাপাশি বগুড়া-৭ আসন থেকেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনবারই এই আসনগুলোতে বিএনপির চেয়ারপারসন অংশ নেন। এবার এ আসনেও সরকার বাদল মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দলীয় মনোনয়ন তাঁকে দেওয়া হয়নি। এখানে এবার খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গাবতলী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিলটন।

কেন সরকার বাদলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে, এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক এস এম সামচ-উল হক বলেন, সরকার বাদল সব সময় জনগণের কাছাকাছি থাকেন। এই কারণে বিজয় ছিনিয়ে আনতে তিনিই যোগ্য প্রার্থী।

সরকার বাদলের বাড়ি শাজাহানপুর আমরুল ইউনিয়নে। ১৯৮৮ সালে ‘মাঝিরা (বর্তমান শাজাহানপুর) উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন’ নামের একটি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৩ সালে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান গাবতলী উপজেলায়। এ কারণে বগুড়া-৭ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়া ২০০৮ সালে এই আসনে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন ‘একতরফা’ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মুহাম্মাদ আলতাফ আলী জেপির (মঞ্জু) প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। এবারও এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ আলতাফ।