সালমানের বড় আয় শেয়ারবাজার

সালমান এফ রহমান
সালমান এফ রহমান
>

• আ.লীগ থেকে ঢাকা-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সালমান
• ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচ খাতে আয় দেখিয়েছেন
• সালমানের নগদ রয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা
• ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে প্রায় ৩ কোটি টাকা

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের (সালমান ফজলুর রহমান) আয়ের বড় উৎস শেয়ারবাজার। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানিতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া সালমান এফ রহমান নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হলফনামায় সালমান এফ রহমান ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচটি খাতে তাঁর আয় দেখিয়েছেন। এর মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বেশি আয় হয় বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির বোনাস শেয়ার ও আইএফআইসি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার বাবদ ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। শেয়ারবাজার ও ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে তাঁর আয় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া চাকরি (সম্মানী ভাতা) থেকে ৪১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৬ লাখ টাকা, বাড়ি, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে তাঁর আয় ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

২০১৭ সালের মার্চে প্রকাশিত চীনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবালের তালিকায় বিশ্বের ২ হাজার ২৫৭ জন ধনী ব্যক্তির মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিল ১ হাজার ৬৮৫তম। হুরুন গ্লোবালের তথ্য অনুযায়ী সালমান এফ রহমানের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। হলফনামায় অসত্য তথ্য থাকলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।

হলফনামায় সালমান এফ রহমান উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একক বা যৌথভাবে আমার ওপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা পরিচালক হওয়ার সুবাদে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করিনি।’

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হলফনামা অনুযায়ী সালমান এফ রহমানের নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৪৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা এবং ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার সোনার অলংকার রয়েছে। এ ছাড়া সালমানের ৩৪ লাখ টাকার গাড়ি, ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকার সোনা ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে। তিনি আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনা সুদে ২০ কোটি ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা ধার দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীও আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন কোম্পানিকে বিনা সুদে ধার দিয়েছেন ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সালমানের ২ কোটি ৩ লাখ ও তাঁর স্ত্রীর ৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার অকৃষিজমি রয়েছে। এ ছাড়া নিজের ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকার দালান রয়েছে। স্ত্রীর নামে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ২৫ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে।

সালমান এফ রহমান দেখিয়েছেন, তাঁর ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দায়দেনা রয়েছে। তাঁর স্ত্রী ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকার দেনাদার সালমান রহমানের কাছেই। তাঁর স্ত্রী বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো হোল্ডিংয়ের কাছেও দেনাদার ১২ কোটি ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

সালমান এফ রহমান ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে অংশ নিয়ে বিএনপির সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদার কাছে হেরে যান।