আটকে গেল দণ্ডিতের নির্বাচন

সাবিরা সুলতানা
সাবিরা সুলতানা

যশোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবিরা সুলতানা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তাঁর দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার বিচারপতি। এই স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে জানিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নিম্ন আদালত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে ছয় বছর কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই মামলায় দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে গত ২৯ নভেম্বর আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ। নিম্ন আদালতের দেওয়া ওই দণ্ড ও সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সাবিরার করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দণ্ড ও সাজা স্থগিত করা হয়। এতে তাঁর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা কেটে যায়। কিন্তু আদেশটি স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক গতকাল পৃথক আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে চেম্বার বিচারপতি দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন দুটি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটির ওপর শুনানি হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। সাবিরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে সাবিরার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাবিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন না, নির্বাচন কমিশন সে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে সাবিরা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।