পার্বত্য এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বাড়ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সরকারি কাজে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্তরা বাজার মূল্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ২০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। বেসরকারি কাজে অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণ পাবে বাজারমূল্যের সঙ্গে আরও ৩০০ শতাংশ। বর্তমানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় বাজার মূল্যের সঙ্গে আরও মাত্র ১৫ শতাংশ।

এসব সুবিধা রেখে দ্য চিটগং হিল ট্র্যাকস (ল্যান্ড একুজিয়েশন) রেগুলেশন ১৯৫৮ সংশোধন করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, সমতলে ৬১টি জেলার সঙ্গে মিল রেখে এই ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণটা বাড়ানো হয়েছে।

এ ছাড়াও আজকের সভায় বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ শ্রম আইন অনুযায়ী ইপিজেডেও শ্রমিকদের কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন করা, ধর্মঘট করার ক্ষেত্রে নমনীয়তার সুযোগ রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যমান শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ আইনটি করা হচ্ছে।

পাশাপাশি আজকের সভায় সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ২০১৮’ এর সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রিসভা সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য পাঁচজন মন্ত্রীর সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।

সচিব বলেন, এই কমিটি যে সুপারিশ দেবে তা গেজেট আকারে জারি করা হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।