বিএনপিসহ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক লালমনিরহাট জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপিসহ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ( জামায়াতে ইসলামী) আবু হেনা এরশাদ হোসেন, একই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিব মো. ফারুক, লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-হাতীবান্ধা) আসনে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এ কে এম মাহবুবুল আলম প্রমাণিক এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামিম আহম্মেদ চৌধুরী।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া কাগজপত্রে সমর্থকের স্বাক্ষর না মেলায় বা সমর্থন করেননি এমন প্রমাণ পাওয়ায় আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, হাবিব মো. ফারুক ও এ কে এম মাহবুবুল আলম প্রমাণিকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অসম্পূর্ণ কাগজপত্র থাকায় শামিম আহম্মেদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

লালমনিরহাট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে উল্লেখিত কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ রোববার আমি এজন্য ঢাকায় যাচ্ছি।’

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম মাহবুবুল আলম প্রামাণিকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রফিকুল ইসলাম নামের একজন ফোন ধরে বলেন, উনি বাইরে আছেন, পরে কথা বলেন।

লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মেনে পাঁচটি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।