আপিল করবেন আওয়ামী লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী

>

কাজী হেদায়েতউল্লাহ,লিটন মৃধা
কাজী হেদায়েতউল্লাহ,লিটন মৃধা

ফরিদপুরে দুটি আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চার নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামী লীগের চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ে চারজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে অনড় অবস্থানে আছেন দুই প্রার্থী। তাঁরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

ফরিদপুর-৪ আসনে (ভাঙ্গা–চরভদ্রাসন–সদরপুর) আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তাঁরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন, চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইছাহাক মিয়া, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ওরফে অপু।

এ ছাড়া ফরিদপুর-১ আসনে (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বোয়ালমারী কৃষক লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সদস্য লিটন মৃধা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সোচ্চার ছিলেন দুজন। তাঁরা হলেন ফরিদপুর-১ আসনে লিটন মৃধা ও ফরিদপুর-৪ আসনে হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন। এ দুই প্রার্থী বলেন, দলীয় প্রার্থীরা উপযুক্ত, গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় দলের স্বার্থে এবং দলকে বাঁচাতে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। তাঁরা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।

লিটন মৃধা বলেন, তিনি মোট ৪ হাজার ১১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এ জন্য তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সুবিধা পেলে আপিল করবেন।

হেদায়েতউল্লাহ সাকলাইন বলেন, ‘আমি এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছি। এরপরও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁরা সবাই নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ পাবেন।