আয়-সম্পদ দুটোই বেড়েছে প্রতিমন্ত্রী মান্নানের

আবদুল মান্নান
আবদুল মান্নান

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) সাংসদ অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে আবার সাংসদ হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি হলফনামায় পেশার কলামে লিখেছেন প্রতিমন্ত্রী, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সংসদ সদস্য।

এবারের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৩১ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান বা অন্যান্য বাবদ ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৮০ টাকা; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬২২ টাকা, পেশাগত আয় ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা, অন্যান্য (আয়করবহির্ভূত ও অন্যান্য ভাতা) ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৯ টাকা। গতবারের হলনামায় তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো ছিল ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৭৯ টাকা। এই আয়ের প্রায় অর্ধেক পেতেন সাংসদ ভাতা হিসেবে।

এবার মান্নানের অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ১৪৮ টাকার। এর মধ্যে টাকা আছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৪ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ টাকা। পোস্টাল, সঞ্চয়, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৬৯ লাখ টাকা। একটি জিপগাড়ির মূল্য ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮২ টাকা। গতবারের হলফনামায় তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৬ টাকার। তখন হাতে টাকা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৪০ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ টাকা; পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১৯ লাখ টাকা, ২টি গাড়ির দাম ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ২৯০ টাকা, স্বর্ণ ছিল ১ লাখ টাকার। ২০০৮ সালের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল সব মিলিয়ে ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার।

এবারের হলফনামায় মান্নানের স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি জমি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আধা পাকা তিনটি টিনশেড ঘরের দাম ৫০ হাজার টাকা, একটি ফ্ল্যাট ১৮ লাখ টাকা এবং ১৩ শতকের একটি পুকুর ২ হাজার টাকা।