১৪ পাতার মধ্যে ১১টিই মামলার বিবরণে ঠাসা

শিমুল বিশ্বাস
শিমুল বিশ্বাস

পাবনা-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে ১১১টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এসব মামলার বিবরণ দিতে গিয়ে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জেলার পাঁচটি আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে তাঁর হলফনামাটিই সবচেয়ে বেশি পৃষ্ঠাসমৃদ্ধ হয়েছে। হলফনামার ১৪ পৃষ্ঠার মধ্যে ১১ পৃষ্ঠাজুড়ে দিতে হয়েছে এসব মামলার বিবরণ।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ও আদালতে শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মোট ১১১টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬২টি মামলার সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত, একটির আংশিক স্থগিত, ২০টি বিচারাধীন, ২৫টি তদন্তাধীন ও ৩টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, যেহেতু কোনো মামলাতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি, তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর মনোনয়নপত্রটি বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।

জেলার পাঁচ আসনের ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে শিমুল বিশ্বাসের হলফনামাটি সবচেয়ে বড় হয়েছে।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘শিমুল বিশ্বাস পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেন। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। এরপরেও তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি।’

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিমুল বিশ্বাসের মামলার তালিকা থেকেই বোঝা যায় বিএনপি কী অবস্থায় আছে। তবে যত মামলা-হামলাই হোক, আমরা শিমুল বিশ্বাসকে নিয়েই লড়তে চাই।’

এদিকে হলফনামার অন্যান্য তথ্যের মধ্যে দেখা গেছে, শিমুল বিশ্বাসের স্থাবর–অস্থাবর তেমন কোনো সম্পদ নেই। নগদ ও ব্যাংকে জমা মিলিয়ে রয়েছে ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৭ টাকা। চাকরি থেকে বছরে আয় করছেন ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আরও আছে ২০ তোলা স্বর্ণ, টিভি, ফ্রিজ ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের একটি ২২ বোর পিস্তল।