সালমা আলম এখন বিএনপির ভরসা

সালমা আলম
সালমা আলম

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সাংসদ মো. শহিদুল আলম তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর সহধর্মিণী সালমা আলম এখন বিএনপির ভরসা। দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে তিনিই হবেন পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলমকে প্রথম পছন্দ হিসেবে চিঠি দেয়ে বিএনপি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সালমা আলম ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকেও চিঠি দেওয়া হয়। শহিদুল ব্যতীত বাকি দুজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

এদিকে শহিদুল আলমের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে খ্যাত। এরপরও আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ শহিদুল আলম তালুকদার। শহিদুল আলম ছাড়া বিএনপির কোনো নেতা এ আসনে কখনো সুবিধা করতে পারেনি। তবে তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন সালমা আলম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নের তালিকায় সরকারদলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার শামসুল হকের নাম থাকলেও ফিরোজই মনোনয়ন পাবেন, এমনটা ভাবছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগের এ দুর্গে আবার শহিদুল ও তাঁর স্ত্রী সালমা আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা উজ্জীবিত। তবে শহিদুল আলমের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তাঁদের দাবি, এখন ভোটের মাঠে টিকে থাকতে হলে সালমা আলমকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে হবে।

শহিদুল আলম বলেন, তিনি আজ বুধবার আপিল করবেন। তবে তাঁর বদলে তাঁর স্ত্রী মনোনয়ন পেলে কিছু হেরফের হবে না। দলের সবাই তাঁর জন্য কাজ করবেন।