প্রকাশ্য প্রচারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ঘরে ঘরে

সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণা শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগেই বান্দরবানে প্রচারণায় নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ অনেকটা প্রকাশ্যে প্রচারণায় নেমেছে। দলটির নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে নির্বাচনী সভা আয়োজনের ছবি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতিদিন প্রচার করছেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন ঘরে ঘরে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ অনেক এগিয়ে রয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীরা সপ্তাহখানেক ধরে জেলার সাতটি উপজেলায় প্রকাশ্যে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। আর বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকায় প্রচারণায়ও অগ্রসর হতে পারেনি।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, জনগণের কাছে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নৌকার প্রার্থী বীর বাহাদুরের জন্য ভোট চাওয়া হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগ নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে, ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে, পাড়ার খেলার মাঠে নির্বাচনী সমাবেশের ছবি প্রতিদিন আপলোড করছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, সময়ের আগে হলেও তাঁরা আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। বীর বাহাদুরের উন্নয়ন ও প্রয়োজন মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।

আলীকদম, রোয়াংছড়ি ও থানচিতেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আলীকদমে নির্বাচনী প্রচারণার সময়সূচিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

আলীকদম সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (গতকাল) খুল্যামিয়াঘোনা, জাহাঙ্গীরপাড়া ও আব্দুর রহমান সর্দার ঘোনায় নির্বাচনী সভা হয়েছে। গত সোমাবার পানবাজার, আমতলীসহ কয়েকটি এলাকায় সভা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, প্রকাশ্যে নয়, আচরণবিধি মেনে উঠান বৈঠকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কখনো নিয়ম ভঙ্গ করে না।

অন্যদিকে বিএনপি চালাচ্ছে কৌশলী প্রচারণা। নেতা-কর্মীরা চার-পাঁচজনের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

লামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন বলেন, তাঁরা কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারণ সামান্য ত্রুটি পেলে মামলার আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবুর রশিদও বলেন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার আগে তাঁরা প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন না। তবে ভেতরে-ভেতরে প্রচারণা চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দাউদুল ইসলাম বলেন, ১০ ডিসেম্বরের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা না চালানোর জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রচারণা চালানোর ব্যাপারে তাঁদের জানা নেই। খবর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।