ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নিয়ে ধোঁয়াশা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হওয়ার আশায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন পাঁচজন। যাচাই-বাছাইয়ের পরও চারজনের প্রার্থিতা টিকে আছে। এ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থা সুনামগঞ্জ-৩ আসনের। জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ নিয়ে গঠিত এই আসন।
নির্বাচন কার্যালয় ও নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবদুল ছাত্তার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহীনুর পাশা চৌধুরী, গণফোরামের নেতা নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ ও এলডিপির নেতা মাহফুজুর রহমান। তাঁদের মধ্যে একমাত্র বিএনপির প্রার্থী আবদুল ছাত্তারের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে।
বাকি চারজনের মধ্যে এখন শাহীনুর পাশা চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম মূল আলোচনায় আছেন। নিজেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দাবি করে শাহীনুর পাশা চৌধুরী ইতিমধ্যে মাঠে প্রচারণা চালানো শুরু করেছেন। নজরুল ইসলামও মাঠে জোর প্রচারণায় আছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের আহ্বানে আমি গণফোরামে যোগদান করেছি। আশা করছি, জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি আমাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী করার ব্যবস্থা করবেন।’
তবে শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঐক্যফ্রন্টের কাছে শুধু আমার আসনটিই চেয়েছে। তাই জোটের প্রয়োজনেই আমাকে এখানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করা হবে।’
এই আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগের নেতা আবদুস সামাদ আজাদ ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল মারা যান। এরপর ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে শাহীনুর পাশা চৌধুরী বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ছিলেন নজরুল ইসলাম।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু হুরায়রা (ছাদ মাস্টার) বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি কে পাচ্ছেন ধানের শীষ। কারণ ধানের শীষ যেখানে, আমরা সেখানেই থাকব। তবে এখন পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দোটানায় রয়েছেন।’