বিশ্বের ২৬তম ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
>*ফোর্বস গত মঙ্গলবার তালিকাটি প্রকাশ করেছে
*১০০ ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ২০ জন রাজনীতিক
*এবারও তালিকায় শীর্ষে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল
*গত বছর ৩০তম অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা

বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২৬তম অবস্থানে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী ব্যবসায়িক সাময়িকী ফোর্বস গত মঙ্গলবার তালিকাটি প্রকাশ করেছে। গত বছর ফোর্বস-এর প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় ৩০তম অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা।

ফোর্বস-এর এবারের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি আট বছর ধরে শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীর অবস্থানটি ধরে রেখেছেন।

তালিকায় থাকা ১০০ ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ২০ জন রাজনীতিক। তাঁদের মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তালিকায় থাকা প্রত্যেকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দিয়েছে ফোর্বস। শেখ হাসিনা সম্পর্কে সাময়িকীটি লিখেছে, ২০১৭ সালে তিনি মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় এবং তাদের জন্য ২ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। তিনি বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ভার বহন করতে পারবে না। ফোর্বস-এর ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে ক্রমশ কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোটারদের দাবিয়ে রাখার এবং গণতন্ত্রকে খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে।

তালিকায় থাকা প্রথম ১০ জনের মধ্যে ম্যার্কেলের পরেই রয়েছেন যথাক্রমে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লেগার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের মোটরযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যারি বারা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিডেল্টি ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী অ্যাবিগেইল জনসন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস, ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুসান ওজিস্কি, স্পেনভিত্তিক বহুজাতিক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বানসো স্যান্টেন্ডারের চেয়ার ও নির্বাহী পরিচালক অ্যানা প্যাট্রিসিয়া বোটিন, যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের প্রধান নির্বাহী মেরিলিন হিউসন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএমের প্রধান নির্বাহী জিমি রোমেটি।

ফোর্বস-এর তালিকায় শেখ হাসিনার আগে ২৫তম অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ডাইনামিকসের প্রধান নির্বাহী ফেবে নোভাকোভিচ, ২৪তম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ও উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং ২৩তম অবস্থানে রয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের নারী বিচারপতিরা রয়েছেন ১৯তম অবস্থানে। দেশটির টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে আছেন ২০তম অবস্থানে।

এ ছাড়া তালিকায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আহডার্ন ২৯তম, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ৩২তম, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আরনা সোলবার্গ ৩৫তম, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ৪০তম, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্র্যাবার-কিতারোভিচ ৪৭তম, ভারতের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী রোশনি নাদার মালহোত্রা ৫১তম, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের স্ত্রী ও চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রিসিলা চ্যান ৫৩তম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি ৬৭তম, এস্তোয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট কারস্তি কালজুলাইদ ৭৬তম, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রবতী ৭৮তম, মার্কিন টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ৭৯তম, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে ৮৫তম, সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনা বার্নাবিচ ৯১তম এবং বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ৯৪তম অবস্থানে রয়েছেন।