প্রার্থিতা যাঁরা ফিরে পেলেন

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানি শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫০ জনের প্রার্থিতা নিয়ে শুনানি হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫ জন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের দশম তলায় স্থাপিত এজলাসে আপিল শুনানি চলছে।

আজকের শুনানি শুরু হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নবাব মো. শামছুল হুদার আপিলের মধ্য দিয়ে। এ দফায় আপিলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বগুড়া-৭ আসনে দলের মনোনীত বিকল্প প্রার্থী মোরশেদ মিলটনের আপিলের শুনানি। শুনানি শেষে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিনও প্রার্থিতা ফিরে পান। তাঁরা দুজনই বিএনপির প্রার্থী।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও পটুয়াখালী-৩ আসনে মো. গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ-২ আসনে মো. আবদুল মজিদ প্রার্থিতা ফিরে পান।

মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে জামালপুর-৪ আসনের মো. ফরিদুল কবির তালুকদারের (শামীম)। তিনি বিএনপির প্রার্থী। পটুয়াখালী-৩ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান প্রার্থিতা ফিরে পান।

মাদারীপুর-১ আসনের জহিরুল ইসলাম মিন্টু এবং সিলেট-৩ আসনের আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীও আপিল করে সফল হয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর। গত ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরপর গত রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এদিন নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেওয়া ৩ হাজার ৬৫ মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৭৮৬টি বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা, যাঁদের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের শক্তিধর প্রার্থীও রয়েছেন।

গত সোমবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। তিন দিনে মোট ৫৪৩ জন আপিল করেছেন। প্রথম দিনে ৮৪, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭ ও তৃতীয় দিনে ২২২টি আবেদন জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে। আজ শুনানি হবে ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের আবেদনের। কাল শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত এবং আগামী শনিবার ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি গ্রহণ করবে কমিশন।