মাছ চাষে কোটিপতি শরীফ আহমেদ

শরীফ আহমেদ
শরীফ আহমেদ

সাংসদ থাকাকালে মাছ চাষ করে কোটিপতি হয়েছেন ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাংসদ শরীফ আহমেদ। আয়ের সিংহভাগ মাছ চাষ থেকে এলেও সাংসদ হিসেবে সম্মানী ও বাড়িভাড়া থেকেও তিনি আয় করেছেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংসদ শরীফ আহমেদ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন।

শরীফ আহমেদের দুটি হলফনামা থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে স্ত্রীর ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ তোলা সোনা ছাড়া আর কিছু ছিল না। নিজের বা স্ত্রীর নামে স্থাবর কোনো সম্পদও ছিল না এই সাংসদের। সাংসদ হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি মাছ চাষ করেছেন।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, মাছ চাষ থেকে তাঁর আয় প্রতি বছরে ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাড়িভাড়া থেকে তিনি বছরে আয় করেন ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। শেয়ার ও ব্যাংক আমানত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮০ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে শরীফ আহমেদ বছরে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী পান।

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে শরীফ আহমেদের ব্যাংকে কোনো টাকা জমানো ছিল না। ২০১৮ সালে তাঁর ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৬ টাকা। রয়েছে ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি। পাঁচ বছরে শরীফ আহমেদ পৈতৃক সূত্রেও পেয়েছেন সম্পদ। এই খাতে যোগ হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতক অকৃষি জমি, ২০টি পুকুর ও পাঁচতলা বাড়ি। গত পাঁচ বছরে এত কিছু অর্জনের বিপরীতে শরীফ আহমেদের ব্যাংকঋণও রয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে তিনি গাড়ি কেনা বাবদ ২০ লাখ ৯২ হাজার ৪০৩ টাকা ঋণ নেন। এ ছাড়া তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭১ টাকা।

হলফনামা থেকে আরও জানা যায়, শরীফ আহমেদ কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি নন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিএ)।

হলফনামায় শরীফ আহমেদ আরও উল্লেখ করেছেন, সাংসদ থাকাকালে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সড়ক পাকা করা হয়েছে। প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এ ছাড়া দুটি কলেজ ও দুটি উচ্চবিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠানোগত উন্নয়ন হয়েছে।