তাঁরা উচ্চশিক্ষিত প্রার্থী

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বশিক্ষিত যেমন আছেন, তেমনি আছেন বেশ কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে পিএইচডি ডিগ্রিধারী দুজন এবং ২০–দলীয় জোটে একজন আছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এ ছাড়া ২০–দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং এলডিপি সভাপতি অলি আহমদও পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তাঁদের মধ্যে হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের, অলি আহমদ চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ) আসনে এলডিপির এবং রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।

চট্টগ্রামে বার–অ্যাট–ল (ব্যারিস্টার) ডিগ্রিধারী চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী) আসনের বর্তমান সাংসদ ও মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মীর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন ও শাকিলা ফারজানা। তাঁদের মধ্যে মীর মোহাম্মদ হেলালের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম–৫ আসনে জাতীয় পার্টি তথা মহাজোটের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও শাকিলা ফারজানার মনোনয়ন বৈধ। আর চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালি–বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ ছেলে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের মধ্যে আরও কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যেমন চট্টগ্রাম–১ (মিরসরাই) আসনে বর্তমান মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন বিএসসি প্রকৌশলী। দেশ স্বাধীনের আগে তরুণ বয়সে রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। এ ছাড়া সাবেক আইজিপি এওয়াইবিআই সিদ্দিকী চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির প্রার্থী। তাঁর মনোনয়নপত্র প্রায় নিশ্চিত বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম–১০ (পাহাড়তলী–হালিশহর–খুলশী) আসনে আওয়ামী লীগের আফছারুল আমীন এবং চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি) বিএনপির খুরশিদ জামিল চৌধুরী ও চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালি–বাকলিয়া) আসনে বিএনপির শাহাদাত হোসেন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী। প্রথম দুজন মাঠে আছেন। তবে শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা রয়েছে। তিনি এখন কারাগারে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সভাপতি এবং ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দার খান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চশিক্ষিত নাগরিকদের অনেকে রাজনীতিতে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত নাগরিক হলে কেবল চলবে না, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তাঁদের মনোভাব বুঝে এলাকার জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে হবে।