মনসুরের সম্পদ বেশি, শাহীনের বেশি দেনা

সুলতান মনসুর,  এম এম শাহীন
সুলতান মনসুর, এম এম শাহীন

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আসনে এবার যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সম্পদ সবচেয়ে বেশি। অপর প্রার্থী এম এম শাহীনের সম্পদও কম নয়। তাঁর আয় যেমন বেশি, তেমনি দেনাও বেশি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

মৌলভীবাজার-২ আসনে মোট আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন

এম এম শাহীন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি উল্লেখ করেছেন। তাঁর পেশা ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ঠিকানার প্রকাশনা ও বিক্রি এবং জনগণের সেবার রাজনীতি’। ১২ দশমিক ৮৩ বিঘা জমি থেকে বছরে পাওয়া আয় দিয়ে তাঁদের যৌথ পরিবারের খরচ চলে। এ ছাড়া পত্রিকা বিক্রি থেকে বছরে তাঁর আয় হয় ২৫ লাখ টাকা। নিজের নামে নগদ টাকা আছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে আরও ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯০ টাকা। নিজের কোনো গাড়ি নেই। তবে নির্ভরশীলদের নামে ৮ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা প্রভোক্স মডেলের একটি গাড়ি আছে। স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার ৫০ তোলা স্বর্ণালংকার রয়েছে। নিজের নামে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বৈদ্যুতিক ও ৫ লাখ টাকার আসবাবসামগ্রী আছে। স্থাবর সম্পদ হিসেবে ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২ দশমিক ৮৩ বিঘা জমি ও ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬৯ দশমিক ৭৫ শতক অকৃষি জমি রয়েছে। যৌথ মালিকানায় ৬০ লাখ টাকার একটি দালান এবং নিজের নামে কোটি টাকার বেশি মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট আছে। এরপরও জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য বায়না হিসেবে গ্রহণ করা ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার দায় রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারের বিচারিক হাকিমের তৃতীয় আদালতে একটি জিআর মামলা বিচারাধীন।

সুলতান মনসুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ (অনার্স) এমএ। পেশা ‘সমাজকর্মী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নির্ভরশীলদের থেকে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানতে আয় হয় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা। তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ৫৫ লাখ। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে নিজের বিনিয়োগ রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর বিনিয়োগ ২৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি এলইএন টয়োটা গাড়ি আছে। বিবাহসূত্রে স্ত্রীর আছে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী। সুলতানের নিজের নামে ৬ একর ও স্ত্রীর নামে দশমিক ৭২ শতক কৃষিজমি আছে। যৌথ মালিকানায় নিজের একটি দালান থাকলেও স্ত্রীর একক নামে ৩০ লাখ টাকার একটি বাড়ি আছে। সুলতান মনসুরের নামে কোনো মামলা নেই।’