রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আইসিসির রাষ্ট্রপক্ষগুলোর চলতি ১৭ তম সাধারণ সভায় ইইউ গত বুধবার এ দাবি জানায়।
এর ফলে ১২৩টি সদস্যদেশের অংশগ্রহণে চলমান ওই অধিবেশনের শুরুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রবল চাপ ও নিন্দার মুখে পড়েছে মিয়ানমার। সপ্তাহব্যাপী এই অধিবেশনের প্রথম দিনেই বুধবার বিভিন্ন দেশ মিয়ানমার প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের হেগ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সূত্রগুলো বলেছে, ২৮ দেশের ইউরোপীয় জোটের পাশাপাশি ফ্রান্স, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, লিচেনস্টেইনসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার অপরাধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রোম সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ না হয়েও মিয়ানমার এই প্রথম আইসিসির সাধারণ সভায় যোগ দিতে আবেদন করেছে। নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত চাপের কারণে মিয়ানমার অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছে।
বুধবার অধিবেশনে আইসিসির কৌঁসুলি তাঁর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি এ বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানাধীন’ পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের নীতিগত পদ্ধতি অনুযায়ী কৌঁসুলির দপ্তর এ নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই করবে। আইসিসির প্রাক্-বিচারিক শুনানি আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কৌঁসুলির দপ্তর একটি যথাযথ সময়সীমার মধ্যে এই প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ করার চেষ্টা চালাবে।