বাগেরহাটে দুটি আসনে লড়বে জামায়াত

বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসন ২০–দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দিল বিএনপি। গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চারটি আসন থেকে বিএনপির একজন করে মোট চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন এই চারটি আসনে সব দল মিলে মোট চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল ২২ জনে।

গতকাল বিএনপির মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট ও চিতলমারী) আসনে শেখ মুজিবর রহমান, বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) আসনে এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম, বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে শেখ ফরিদুল ইসলাম এবং বাগেরহাট- ৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে কাজী খায়রুজ্জামান শিপন।

দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণে বাগেরহাট ৩ ও ৪ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকল না। আসন দুটিতে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন জামায়াতের দুই নেতা।

চূড়ান্তভাবে বাগেরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও বর্তমান সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শেখ মাসুদ রানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. লিয়াকত আলী শেখ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এম ডি শামসুল হক।

বাগেরহাট-২ আসনে লড়বেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময়, বিএনপির এম এ সালাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মো. আবদুল আউয়াল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) খান সেকেন্দার আলী, জাকের পার্টির খান আরিফুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক এস এম আজমল হোসেন ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার, জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ সেখ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শাহজালাল সিরাজী, জাকের পার্টির মো. রেজাউল শেখ ও জাতীয় পার্টির মো. সেকেন্দার আলী মনি।

বাগেরহাট-৪ আসনে আছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোজাম্মেল হোসেন, জামায়াতের অধ্যক্ষ আবদুল আলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. রিয়াদুল ইসলাম আফজাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. শরিফুজ্জামান তালুকদার ও জাতীয় পার্টির সোম নাথ দে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল চারটি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন জেলার চারটি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী দাঁড়াল ২২ জন।