আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভরসা শরিক প্রার্থী

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোনো নেতা এবার প্রার্থী হননি। দেশের প্রধান দুটি দল তাদের শরিক দলের কাছে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সেখানে লড়বেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই আসনে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু সাংসদ। একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী। এবারও মহাজোটের শরিক দল হিসেবে তিনি নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা সাম্প্রতিক সময়ে ইনুর বিরোধিতা করলেও পরে তাঁরা ঠান্ডা হয়ে যান। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে বিএনপি থেকে এই আসনে রাগীব রউফ চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমিন—দুজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনবারের সাংসদ শহিদুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। শেষে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

এদিকে হঠাৎ গত শুক্রবার জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের টিকিট পেয়ে যান। এতে বাদ পড়ে যান রাগীব ও ফরিদা। এ নিয়ে মিরপুর-ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। তবে ধানের শীষ প্রতীককে জয়ী করতে সবাই এক হয়ে মাঠে নামবেন বলে আশা করছেন লিংকন–সমর্থিত নেতা-কর্মীরা।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। প্রার্থী যে–ই হোক, নৌকাকে জেতাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এক হয়ে কাজ করবেন।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে তিনবারের বিএনপির সাংসদ শহিদুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে জোটের প্রার্থী আহসান হাবিব লিংকনকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। ধানের শীষকে জেতাতে মাঠে নামা হবে।

মিরপুর উপজেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কারশেদ আলম বলেন, এই আসনে জাসদের একটা বলয় আছে। তবে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বিপুল ভোটের ব্যবধানে হাসানুল হক ইনু জয়ী হবেন।