মামলায় নাকাল বিএনপি, আ.লীগ প্রার্থীরা স্বস্তিতে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর জেলার ছয়টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৫৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ছয়জন এবং বিএনপির ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও বিএনপির ছয়জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা রয়েছে।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। দিনাজপুরের ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন দিনাজপুর-১(বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২(সেতাবগঞ্জ-বিরল) আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ (দিনাজপুর সদর) আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫(ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এবং দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ-বিরামপুর-ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর) আসনে শিবলী সাদিক।

বিএনপির প্রার্থীরা হলেন দিনাজপুর-১ আসনে মো.তোফাজ্জল হোসেন, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ আসনে মো. সাদিক রিয়াজ, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মোফাজ্জল হোসেন, দিনাজপুর-৪ আসনে আক্তারুজ্জামান মিয়া, হাফিজুর রহমান সরকার, দিনাজপুর-৫ আসনে এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, এস এম জাকারিয়া এবং দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন এবং লুৎফর রহমান।

>বিএনপির ছয়জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ২৮টি মামলা রয়েছে।

বিএনপির প্রার্থীদের হলফনামা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে দিনাজপুর-৬ আসনে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মো. আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাঁর নামে বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি মামলা বিচারাধীন, তদন্তাধীন রয়েছে তিনটি, শুনানি চলছে একটির। দিনাজপুর-৩ আসনে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। একই আসনে বিএনপি–মনোনীত অপর প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেনের দিনাজপুর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলাসহ মোট দুইটি মামলা রয়েছে। দিনাজপুর-৪ আসনে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী আক্তারুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী মো. লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধেও দুটি মামলা রয়েছে। দিনাজপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বোচাগঞ্জ থানায় একটি মামলা রয়েছে।

 অন্যান্য দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা

জাপার ছয়জন প্রার্থী, জাগপার একজন, ওয়ার্কার্স পার্টির দুইজন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির দুইজন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একজন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির একজন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে একজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে একজন এবং স্বতন্ত্র সাতজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।