পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সাকির

ঢাকা-১২ আসনে বাম নির্বাচনী প্রচারে গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি (জোনায়েদ সাকি)।
ঢাকা-১২ আসনে বাম নির্বাচনী প্রচারে গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি (জোনায়েদ সাকি)।

নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১২ আসনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি। তিনি কোদাল মার্কা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিউ ইস্কাটন নিজ বাসভবনের সামনে থেকে সাকি তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন। গণসংযোগ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকি গতকাল সোমবার রাতে কোদাল মার্কার পোস্টার লাগানোর সময় তার কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন।

ঢাকা-১২ আসনে ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকালের হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমর্থকদের দিকে ইঙ্গিত করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি আপনার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আপনার নাম ভাঙিয়ে তারা বলছেন, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলাকা এখানে অন্য কারও পোস্ট আর লাগবে না। এ রকম কোনো নির্দেশনা যদি আপনি দিয়ে থাকেন, তাহলে নির্বাচন কমিশনকে বলব তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আর যদি আপনি নির্দেশ না দিয়ে থাকেন, তাহলে যারা আপনার নাম ভাঙিয়ে এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

'ভয়মুক্ত বাংলাদেশ, কার্যকর গণতন্ত্র, সকলের জন্য উন্নয়ন'—স্লোগান নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন জোনায়েদ সাকি।

হামলার ঘটনা উল্লেখ করে সাকি বলেন, গতকাল রাত থেকে যখন আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে আমাদের কর্মীরা পোস্টার এবং ফেস্টুন লাগাচ্ছিল কারওয়ান বাজার এলাকায় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, মারধর করেছে। আমাদের এক কর্মীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। মগবাজার এলাকায় গভীর রাতে পোস্টার লাগানোর সময় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করুন। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

জোনায়েদ সাকির অভিযোগ, দেশে একটা প্রবল স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে। এই শাসন সারা দেশে একটা ভয়ের আতঙ্ক তৈরি করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। অবাধে লুটপাটতন্ত্র চলছে। এসবের ন্যূনতম কোনো জবাবদিহি নেই। আজকে দেশে গুম খুন চলছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই।

সাকির গণসংযোগের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমদ কামাল, শিল্পী অরূপ রাহি, অমল আকাশ প্রমুখ।