অভিবাসন-সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

অভিবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রস্তাব ‘অভিবাসন-সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তি’ জাতিসংঘের অধীনে মরক্কোতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রস্তাব ‘অভিবাসন-সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তি’ জাতিসংঘের অধীনে মরক্কোতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রস্তাব ‘অভিবাসন-সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তি’ জাতিসংঘের অধীনে মরক্কোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে দুর্দশা আর বিশৃঙ্খলা দূর করার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পথ তৈরি হলো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

মরক্কোর মারাকেশে গতকাল সোমবার গৃহীত এই প্রস্তাবে ১৬০টির বেশি দেশ সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বিরোধিতা করে। তবে সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক চুক্তি গ্রহণের জন্য এই প্রস্তাব (বাংলাদেশের) মেনে নেওয়ার ঘটনাটিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘের প্ল্যাটফর্ম ফর ডিজাস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট (পিডিডি) আয়োজিত আন্তরাষ্ট্রীয় এই সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক।

২০১৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অভিবাসন-সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তি’র প্রস্তাব প্রথম তুলে ধরেছিলেন।

মরক্কোতে অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক চুক্তি গ্রহণের জন্য আন্তরাষ্ট্রীয় সম্মেলন’-এর কর্ম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই প্রস্তাব তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর তিনি এই বৈশ্বিক চুক্তি এবং এর বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জসমূহ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন।