এলাকা ছাড়লেন বিএনপির প্রার্থী হান্নান

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান পুলিশের ভয়ে মঙ্গলবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এর আগে তিনি জেলা শহরের হাজী মুহসীন সড়কে হান্নান কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ফরিদগঞ্জে এভাবে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ জন্য এলাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনের পর এম এ হান্নান এলাকা ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেলে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এখন গাড়িতে ঢাকার পথে রয়েছেন। ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ নয়, পুলিশই বিএনপির প্রতিপক্ষ।

হান্নান প্রথম আলোকে আরও বলেন, গত সোমবার বিকেলে পুলিশ বিএনপির মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। রাতেই তাঁদের ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. ইউনুস সংবাদ সম্মেলনের কথা স্বীকার করে জানান, সোমবারের ঘটনার পর বিএনপির সবাই পলাতক রয়েছেন। পুলিশের ভয়ে কেউই এলাকায় উঠতে পারছেন না। হান্নান সাহেবও ঢাকায় চলে গেছেন।

বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন আরিফ পাটওয়ারী (৪৩), ইমান হোসেন (১৮), ইয়াছিন শেখ (৩৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৬), হারুনুর রশিদ (৫৯), কাজী ওসমান গণি (৩৫), মো. রানা (৪৩), নুরুউদ্দিন (১৯), মো. রাসেল (২৬), মো. শাহীন (২৬), জসিম উদ্দিন (২৪), হেলাল উদ্দিন (২২), বেলাল হোসেন (২৪), আবদুল হক (২৪), রুবেল গাজী (২৬), আশরাফ আলী (২৩), মহিবুল্ল্যাহ (২৩), আবু মুসা (২২), আ. কাদের (৫৫) প্রমুখ।

জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান সোমবার শোডাউনের উদ্দেশ্যে মিছিল বের করেন। মিছিলটি থানার কাছাকাছি ফরিদগঞ্জ মধ্য বাজারে এলে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর এম এ হান্নানের নেতৃত্বে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে চার পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ২৫০ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।