প্রথমবার মুখোমুখি সাইফুজ্জামান ও সরোয়ার জামাল

এরপর ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যু হলে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রথম সাংসদ হন তাঁর পুত্র সাইফুজ্জামান
চৌধুরী জাবেদ। এরপর দশম জাতীয় সংসদেও সাইফুজ্জামান সাংসদ নির্বাচিত হয়ে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মুখোমুখি হচ্ছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও সরোয়ার জামাল।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, পেশায় ব্যবসায়ী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর পিতার মৃত্যুর পর আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এখানকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরেন। নিয়মিতই এলাকায় আসেন। প্রতি শুক্রবার এলাকার কোনো না কোনো মসজিদে জুমা আদায় করেন। প্রায় সব ইউনিয়নে রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

অপরদিকে, ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে হারার পর বিএনপির সরোয়ার জামাল অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন রাজনীতিতে। এলাকায়ও বেশি সময় দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরোয়ার জামালের কাছে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সার ও ২০০১ সালে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু হেরেছিলেন।

উপজেলা সহকারী রিটানিং কার্যালয় সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪০ জন।

উপজেলার বটতলী রুস্তমহাটের ব্যবসায়ী আলী আজম বলেন, রাজনীতিতে পোক্ত হয়ে ওঠা তরুণ প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষ সরোয়ার জামালের লড়াইটা উপভোগ্য হবে। দুজনই নির্বাচনী মাঠে প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছেন।

আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনগণ মুখিয়ে আছে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য। তারা (ভোটারেরা) কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলেই আমরা জয়ী হব।’

অপরদিকে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক প্রথম আলোকে বলেন, গত দশ বছরে আনোয়ারায় যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে সেটা বিবেচনায় আনলে ভোটারেরা নৌকা ছাড়া কোথাও ভোট দেবেন না। কারণ জনগণ উন্নয়ন চায়, উন্নয়ন আশা করে।