বাবার সঙ্গে ভোটের মাঠে মেয়েও

জাফর আলম, তানিয়া আফরিন
জাফর আলম, তানিয়া আফরিন

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সবার চোখ আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের দিকে। নির্বাচনের জন্য তিনি কয়েক বছর ধরে মাঠে সক্রিয় আছেন। দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার আগেই তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমেদ। এর বাইরে আছেন আরও ছয়জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তানিয়া আফরিন। তিনি জাফর আলমের মেয়ে। তানিয়ার প্রতীক মোটরসাইকেল।

গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর জাফর আলম নৌকা প্রতীকের জন্য গণসংযোগ, পথসভা শুরু করেছেন। নৌকার পোস্টারে ছেয়ে যাচ্ছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা। পাশাপাশি ধানের শীষ, লাঙ্গলসহ বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টার ভোটারদের নজরে এলেও মোটরসাইকেলের পোস্টার গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নজরে পড়েনি। ভোটারদের অনেকে বলছেন, বাবার ‘ডামি’ প্রার্থী হয়েছেন মেয়ে। তিনি (তানিয়া) প্রকৃত অর্থে বাবার নৌকা প্রতীকের জন্য প্রচারণায় ব্যস্ত।

অভিযোগ মানতে নারাজ তানিয়া আফরিন। তাঁর ভাষ্য, বাবার জনপ্রিয়তা এলাকায় আকাশচুম্বী। তারপরও তিনি অনেক ভোট পাবেন। ভোটযুদ্ধে অংশ নিতেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

জাফর আলম বলেন, মেয়ে হলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। ভোটাররা রায় দেবেন, কে বেশি যোগ্য।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচ প্রার্থী। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ (লাঙ্গল), ওয়াকার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র বদিউল আলম (সিংহ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী আছগর (হাতপাখা) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মুহাম্মদ ফয়সল (হারিকেন)।

বাবা-মেয়ের হলফনামা

তানিয়া আফরিনের জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই। তাঁর নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার, ব্যাংকে জমা ১০ হাজার। স্বর্ণ আছে ৬ ভরি। তিনি নির্বাচনে খরচ করবেন ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে নিজের ৫০ হাজার টাকা। এ টাকা তিনি পেয়েছেন ছাত্র পড়িয়ে। বাকি ১০ লাখ টাকার মধ্যে মা শাহেদা বেগম দিয়েছেন ৫ লাখ। স্বামী মো. আমান উদ্দিন দিয়েছেন ৫ লাখ। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে বাবা জাফর আলমের অবস্থা অন্য রকম। তাঁর নগদ টাকা আছে ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ৫১১ টাকা। স্ত্রীর নগদ টাকা আছে ১০ হাজার টাকা। জাফর আলমের ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা আছে ৩০ লাখ টাকা। জাফর আলমের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজের ২০ লাখ টাকা। বাকি ৫ লাখ টাকা দিয়েছেন স্ত্রী।