বিএনপি জোটের অর্ধেক প্রার্থী নতুন, আওয়ামী লীগে দুজন

সাদেক খান, আকবর হোসেন পাঠান, সুব্রত চৌধুরী, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম, নবী উল্লা, সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, আহসান উল্লাহ, শামীম আরা বেগম ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ
সাদেক খান, আকবর হোসেন পাঠান, সুব্রত চৌধুরী, আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম, নবী উল্লা, সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, আহসান উল্লাহ, শামীম আরা বেগম ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১০ জন প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ২ জন। বাকি ৮ জনই ধানের শীষের প্রার্থী।

ঢাকা-১৩ আসনে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও ঢাকা-১৭ আসনে আকবর হোসেন পাঠানকে প্রার্থী করেছে ক্ষমতাসীন দল। তাঁরা প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে লড়ছেন।

ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনিও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দুই নেতার অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত ছিলেন। তফসিল ঘোষণার পর জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়। তবে সাদেক খানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার পর জাহাঙ্গীর কবির তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। আর ঢাকা-১৭ আসনের বর্তমান সাংসদ বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ।

এদিকে, ঢাকা মহানগরের আসনগুলোতে ৮ জন নতুন প্রার্থী লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। তাঁরা হলেন ঢাকা-৫ আসনে নবী উল্লাহ, ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৯ আসনে আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১১ আসনে শামীম আরা বেগম, ঢাকা-১২ আসনে সাইফুল আলম, ঢাকা-১৪ আসনে সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা-১৬ আসনে আহসান উল্লাহ  ও ঢাকা-১৮ আসনে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ।

প্রতিক্রিয়া জানতে সংসদ নির্বাচনে নতুন দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাদেক খান ও আকবর হোসেন পাঠানকে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।

অন্যদিকে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেএসডির নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, অতীতে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে, তবে জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথম নির্বাচন করছেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা
করে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে প্রথমেই আমি মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি, বেকারত্ব দূর করা, অনুন্নত এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করব।’