পিকআপের চাকায় ৩৮ হাজার ইয়াবা

এই পিকআপ ভ্যানের অতিরিক্ত চাকার ভেতর লুকানো ছিল প্রায় ৩৮ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি। ছবি: সংগৃহীত
এই পিকআপ ভ্যানের অতিরিক্ত চাকার ভেতর লুকানো ছিল প্রায় ৩৮ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি। ছবি: সংগৃহীত

কখনো বাস-ট্রাকে, কখনো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের ভেতর, কখনো গ্যাস সিলিন্ডারে করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। আবার শরীরের ভেতর লুকিয়েও ইয়াবা পাচারকারীরা চলাফেরা করে থাকেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ায় প্রতিনিয়ত কৌশল বদলাচ্ছেন ইয়াবা পাচারকারীরা। এবার তেমনই এক ইয়াবার চালান জব্দ করে র‌্যাব, যা পিকআপ ভ্যানের চাকায় লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল।

র‍্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁরা রাজধানীর দনিয়া থেকে এমন একটি ইয়াবার চালান জব্দ করেন, যাতে প্রায় ৩৮ হাজার ইয়াবা বড়ি ছিল। এ ঘটনায় পিকআপের চালক-সহকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন ইউসুফ নুর জুবায়ের (৩৩), আবু রাজা (২৯) ও মো. জুবায়ের (২২)। এর মধ্যে জুবায়েরের বাড়ি ঢাকার রায়েরবাগে, ইউসুফের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীতে ও রাজার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

চাকার ভেতর লুকিয়ে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
চাকার ভেতর লুকিয়ে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল টেকনাফ ও কক্সবাজারের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী নিয়মিত আকাশপথে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে যাতায়াত করছেন। এসব মাদক ব্যবসায়ী বিশেষ কায়দায় গ্যাসের সিলিন্ডারের ভেতরে লুকিয়ে বা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামাদি যেমন ফ্যান, ওয়াশিং মেশিন, এসির ভেতর লুকিয়ে ইয়াবা ঢাকায় পাঠায়। তাঁদের আরেকটি কৌশল ছিল পিকআপের অতিরিক্ত চাকার ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করা—গতকালের চালানটি ছিল তেমনি এক কৌশলের অংশ।

মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ জানতে পারে, পিকআপ ভ্যানে করে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় আনা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাবের একটি দল অবস্থান নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে পিকআপটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেটিকে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপটি থামিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁরা প্রথমে ইয়াবা পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পিকআপের অতিরিক্ত চাকার ভেতরে করে ইয়াবা পাচারের কথা স্বীকার করেন। এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, অতিরিক্ত এই চাকার ভেতর ৩৭ হাজার ৭৬০টি ইয়াবা ছিল।