কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

কামাল আহমেদ মজুমদার
কামাল আহমেদ মজুমদার

ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মো. শফিকুর রহমান। তিনি এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে শফিকুর রহমানের পক্ষে লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য সলিম উল্লাহ ও আইনজীবী মোশাররফ হোসাইন। অভিযোগটি গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শুক্লা সরকার।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লেখা চিঠিতে শফিকুর রহমান কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে তাঁকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ আনেন। চিঠিতে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন দেওয়া এই বক্তব্য নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি এবং সংসদীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম আজম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমার কাছে পৌঁছায়নি। এমন কিছু হলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনটি গঠিত হয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। এসব ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে মিরপুরের সেকশন ১৩ ও ১৪, বড়বাগ, পীরেরবাগ, মণিপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা, ইব্রাহিমপুর, কাফরুল ইত্যাদি। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এই এলাকায় কামাল আহমেদ মজুমদারের পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রচারকাজ চোখে পড়লেও জামায়াতের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বলছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই সংসদীয় এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করার সময় ২ নারী কর্মীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। ১০ ডিসেম্বর কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাসুদা আক্তারকে। এ ছাড়া কর্মীদের বাড়ি বাড়ি চলছে পুলিশি তল্লাশি।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে কামাল আহমেদ মজুমদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।